কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে এবার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার ৯ হাজার ১১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯৫.৪৯ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯২.৮৫ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৬.২০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯৯ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৭.২৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০০ জন। এ ছাড়া বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৭১ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯৭.৪৯, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২.৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৪৯ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩১ জন। চট্টগ্রামে পাসের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭২০ জন। ময়মনসিংহে পাসের হার ৯৫.৭১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৮৭ জন। যশোরে পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ জন।

 শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখতে হবে। এরপর তা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস আকারে পাঠাবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।

মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গতবারের চেয়ে এবার ৩৩ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।

গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না।

পাঠকের মতামত: